বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায় ও ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরভাস্বর হয়ে আছে এবং থাকবে।তিনি বাঙালির অধিকার এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রাখেন। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৮ এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণ-অভ্যূত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ এ দেশের সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পূরণে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি এই জাতিকে নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বার বার কারাবরণসহ অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। সকল প্রকার অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাহস, বাগিতা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এদেশের সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে তিনি পরোক্ষ ভাবে বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতার যুদ্ধের জন্য প্রস্ত্তত হওয়ার আহবান জানান। তিনি জানতেন, যে কোন মুর্হূতে পাকিস্তানী শাষক গোষ্ঠী তাকে গ্রেফতার করতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা। শুধুমাত্র স্বাধীনতা অর্জনই নয়, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে বিশেবর দরবারে সমহিমায় প্রতিষ্ঠা করতে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালান। বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতির জনকের অবদান তাই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরদিন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মদতে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য সপরিবারে হত্যা করে এই মহান নেতাকে। ইতিহাসের বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ডে দেশ ও জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়।এই ঘটনায় গোটা জাতি গভীরভাবে মর্মাহত এবং শোকে মুহ্যমান। জাতির জনক দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন সার্থক রূপায়নে তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিশন-২০২১’ ঘোষণা করেছেন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তার রাজনতিক দর্শনের উপর গবেষণা করাই হবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!
মোহাম্মদ সাইফুল হোসেন
সাধারণ সম্পাদক